• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট মানুষ

  • ''
  • প্রকাশিত ১৯ মার্চ ২০২৪

এম এ বাবর:

বেশ কয়েক বছর ধরেই মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা মানুষ। এমনিতে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, বাড়ি ভাড়া ও পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। এরপর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর প্রায় সব পণ্যেরই দাম বেড়েছে। এরমধ্যে বেশ কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। নির্বাচনের পর বাজারে স্বস্তি ফেরার আশা করলেও বাস্তবতা উল্টো। শত চেষ্টা করেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা যেভাবে চায় সেভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে সহসা মূল্যস্ফীতির চাপ কমার সম্ভাবনা নেই।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এখন একটি আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা শুনলেও মানুষ ততটা ভয় পায় না যতটা এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ে পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্তের সংসার চালানোই দায়। চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মরিচ, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির এ প্রবণতার লাগাম টানতে সরকারি উদ্যোগও সন্তোষ জনক নয়। এরমধ্যে রমজান মাসে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলে। এর সঙ্গে পণ্যের সরবরাহ বা মজুতের সম্পর্ক নেই। অর্থনীতির কোনো সূত্রও কাজ করে না। সবকিছু ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা যা চান তাই হয়। তবে কয়েক বছর আগে রোজার মধ্যে দাম বাড়তো। আর এখন রোজার একমাস বা কয়েক সপ্তাহ আগেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য শাক-সবজি, বিশেষ করে শসা, টমেটো, লেবু, কাঁচামরিচÑ এগুলোর দাম এবারও রোজার মধ্যে বেড়েছে। দ্রব্য মূল্য নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাজার ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে শুধু বাজারেই যে অস্বস্তি, তা নয়। জানুয়ারিতে অনেকের বাড়ি ভাড়াও বাড়িয়েছেন বাড়ি মালিকরা। দুই শয়নকক্ষের ফ্ল্যাট বাসার ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ার পরিমাণ ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে অনেক বাড়ি মালিক পানির বিল বৃদ্ধি করেছেন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ভাড়া বেড়েছে বস্তি ও টিনসেটে বসবাস করা নিম্ন আয়ের মানুষের। অনেকের বেড়েছে দোকান ভাড়াও। তরলিকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম দফায় দফায় বৃদ্ধির মধ্যেই আছে। অন্যদিকে এ মাসেই অনেক এলাকায় ডিশ বিল, ময়লা নেওয়ার বিল বাড়িয়েছেন সেবাদাতারা। ফলে চিকিৎসা, লেখাপড়া, গাড়ি ভাড়া ও পোশাকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এখন আর মানুষের আয় ও ব্যয়ের সমন্বয় হচ্ছে না। সার্বিক পরিস্থিতিতে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে ট্যারিফ কমিশন। আর বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে শুধু কাগজ কলমেই আছে প্রতিযোগিতা কমিশন।

সরেজমিন, রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে শুরু করে তেজগাঁও ‘ফইন্নিবাজার’, সবখানেই জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মানুষের হতাশা কেবল দীর্ঘায়িতই হচ্ছে। ক্রেতার নাভিশ্বাস কথাটা সবার কাছে পরিচিত ছিল এতোদিন, এখন বিক্রেতারাও বলছেন নাভিশ্বাস উঠে গেছে তাদের। তিন বেলা খাবারের জন্য দরকারি এমন কোনো পণ্য নেই, যার দাম গত ২ সপ্তাহে কমেছে। বরং প্রতিদিনই দাম বাড়ছে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের দাম। অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন করেছে বাজার দর। তাছাড়া সরকারের বাজার মনিটরিং সিস্টেম পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে আছে।

দ্রব্যমূল্যের তুলনা করলে দেখা যায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিদিন ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রকাশ করে। এতে দেখা যাচ্ছে ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার এক বাজারে এক কেজি সরু বোরো চালের দাম ছিল ৩৪-৩৬ টাকা। ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর একই বাজারে ওই চালের দাম ছিল ৫৭-৭৫ টাকা। ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই বাজারে ওই চালের দাম ছিল ৭০-৭৯ টাকা।

ডাল : ২০০৯ সালে এক কেজি দেশি মসুর ডালের দাম ছিল ৮০-৯০ টাকা। ২০২১ সালে ১০০-১১০ টাকা। আমদানিকৃত মসুর ডালের দাম ২০০৯ সালে ছিল ৫০-৬০ টাকা। ২০২১ সালে সেটা হয় ৮৫-৯০ টাকা। মুগ ডালের দাম ২০০৯ সালে ছিল ৮৫-১০০ টাকা। ২০২১ সালে সেটা বেড়ে হয় ১২০-১২৫ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেটা বিক্রি হয় ১৩৮-১৪০ টাকা। আটা, ময়দা : ২০০৯ সালে এক কেজি আটার দাম ছিল ২৭-২৯ টাকা। ২০২১ সালে ৩৬-৪৫ টাকা। ২০০৯ সালে এক কেজি ময়দার দাম ছিল ৩৪-৩৬ টাকা। ২০২১ সালে ৪৫-৫০ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রতি কেজি ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।

পেঁয়াজ : এক কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর ছিল ৪০-৪৪ টাকা। ২০২১ সালে সেটা বিক্রি হয় ৫৫-৬০ টাকা। চলতি বছরে জানুয়ারিতে সে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩০-৩৫ টাকায়। ১৮ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ বেড়ে সে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ২০০৯ সালে ছিল ২৮-৩৪ টাকা। ২০২১ সালে ৪৫-৫০ টাকা। চলতি বছরে জানুয়ারিতে সে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৫-৫০ টাকায়। গত বছর সে পেয়াজের দাম কেজি ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

রসুন : ২০০৯ সালে এক কেজি দেশি রসুনের দাম ছিল ৯০-১০৫ টাকা। ২০২১ সালে সেটা কম ছিল, ৫০-৭০ টাকা৷ আমদানিকৃত রসুনের এক কেজির দাম ২০০৯ সালে ছিল ৮০-৮৫ টাকা। ২০২১ সালে সেটা বেড়ে হয় ১১০-১২০ টাকা। বর্তমানে রসুনের দাম ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা।

সয়াবিন তেল : ২০০৯ সালে এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৭০-৭৩ টাকা। ২০২১ সালে সেটা বিক্রি হয়েছে ১৩৮-১৪২ টাকায়। চলতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৮ টাকায়। বর্তমানে তেলের দাম ১৭৬ টাকা।

ডিম : ২০০৯ সালে দেশি মুরগির ডিম ছিল ৩২-৩৪ টাকা হালি। ২০২১ সালে সেটা বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিমের (লাল) দাম ২০০৯ সালে ছিল ২৫-২৬ টাকা। ২০২১ সালে ৩৬-৪০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৪ টাকায়।

গরুর মাংস : গরুর মাংসের কেজিপ্রতি দাম ২০০৯ সালে ছিল ২২০-২৩০ টাকা। ২০২১ সালে সেটা বিক্রি হয়েছে ৫৮০-৬০০ টাকায়। এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়।

খামারের মুরগি : ২০০৯ সালে কেজিপ্রতি দাম ছিল ১০০-১১০ টাকা। ২০২১ সালে ১৫০-১৬০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০ টাকা।

জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে : ক্যাব জানায় ২০২৩ সালে (সর্বশেষ জড়িপ) ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং সেবা-সার্ভিসের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০১৯ সালে এটি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ও ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০১৮ সালে তা ছিল ৬ শতাংশ ও ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। ঢাকার ১৫টি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন সেবা-সার্ভিসের মধ্য থেকে ১১৪টি খাদ্যপণ্য ও ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী এবং ১৪টি সেবা-সার্ভিসের সংগৃহীত মূল্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে ক্যাব।

নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার পাশাপাশি অস্বাভাবিক মজুত ঠেকাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং টিম কাজ করছে না। পাশাপাশি পণ্যের মূল্য বাড়াতে হলে তার যৌক্তিক কারণ অবহিত করার নিয়ম রয়েছে ট্যারিফ কমিশনকে। কোম্পানির পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি সঠিক মনে না হলে কোনো কোম্পানি তার পণ্যের দাম বাড়াতে পারে না। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, টারিফ কমিশনকে অবহিত না করে বাড়ানো হচ্ছে নানা প্রকার আমদানি পণ্যের দাম। এ ক্ষেত্রে নীরব রয়েছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন।

একই অবস্থা সদ্য গঠিত বংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনেরও। বাজারে কোনো পণ্যের মনোপলি, সিন্ডিকেট অথবা দামের ক্ষেত্রে অসম প্রতিযোগিতা হচ্ছে কি না তা দেখার এবং সেখানে ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও সে অনুযায়ী কাজ করছে না প্রতিযোগিতা কমিশন। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দরিদ্র ব্যক্তিদের পক্ষে বজ্রাঘাততুল্য। বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করছেন। সরকারকে কঠোর হাতে অতিলোভী অসাধু এসব ব্যবসায়ীকে দমন করতে হবে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যতালিকা টাঙানো এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে কি না, সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য সব বাজারে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে ট্যারিফ কমিশনের সরাসরি কোনো দায়িত্ব নেই। ট্যারিফ কমিশন সরাসরি মাঠে কাজ করে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাজার নিয়ন্ত্রণে যে মনিটরিং কমিটি রয়েছে সেখানে ট্যারিফ কমিশনের একজন প্রতিনিধি থাকেন। সেখানে তিনি ট্যারিফ কমিশনের পক্ষে অভিমত দেন। পরামর্শ দেন। মনিটরিং কমিটির সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি কাজ করেন। কোনো কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়টিতে অনুমোদন দেয় ট্যারিফ কমিশন। তবে যদি কোনো কোম্পানি তার উৎপাদিত পণ্যের মূল্য ট্যারিফ কমিশনকে না জানিয়ে বাড়ায় তাহলে তা প্রতিবেদন আকারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়। সে কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের, ট্যারিফ কমিশনের নয়। বাজার সামাল দিতে এর বেশি কাজ ট্যারিফ কমিশন করে না বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কমিশনটি গঠন হয়েছে কিন্তু এখনো এর অর্গানোগ্রামই ঠিক হয়নি। তাছাড়া এ কমিশনের জনবল নেই। এ অবস্থায় কমিশন বাজারে কাজ করবে কী দিয়ে?

তিনি আরও বলেন, একটু সময় দিন। দেখবেন কমিশন ভালো কাজ করবে। বাজারে এ কমিশনের প্রভাব থাকবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এ কমিশনের কাজ হবে কিছুটা ব্যতিক্রমী। এ কমিশন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বা সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং কমিটির মতো কাজ করবে না।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, এ কমিশন বাজারে যেকোনো পণ্যের মনোপলি ব্যবসা, পণ্য বাজারজাত করতে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অসম প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তবে এর আগে পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, মজুত, সরবরাহসহ নানা ধরনের তথ্য জানতে হবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের লোকজন চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে সরকার কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় দ্রুত পরিবর্তনের তাগিদ দেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads